লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি থেকে ফুল বাবু মিয়া (৬৫) নামে গ্রামীন ব্যাংকের এক নৈশ প্রহরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রাতে অফিসের ভিতরে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ আরও দুইজন ছিলেন। সোমবার (৫ জুলাই) দুপুরে গ্রামীন ব্যাংকের সাপ্টিবাড়ি ব্রাঞ্চ অফিস থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।
মৃত ফুল বাবু সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের সরকার টারী এলাকার মৃত মফিজ মুন্সির পুত্র বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল রবিবারও ফুল বাবু রাতে অফিসের ভিতরেই ঘুমায়।
পরদিন সকাল হলে ব্যাংকের ভিতরেই থাকা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মশিউর রহমান ও প্রশিক্ষনার্থী কেন্দ্র ব্যবস্থাপক তুহিন ফুল বাবুকে ডাকলে তার কোন সারা শব্দ না পেয়ে স্থানীয় সাপ্টিবাড়ির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে অবগত করেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে সেখানে গিয়ে ফুল বাবু মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হয়। পরে তিনি আদিতমারী থানা পুলিশকে খবর দিলে দুপুরের দিকে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
মৃত ফুল বাবু মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়া জানায়, তার বাবার কোন অসুখ ছিল না। তার বাবা কিভাবে মারা গেছেন তা তারা জানেন না।
এ ব্যাপারে তাদের কোন অভিযোগও নাই। ময়না তদন্ত না করে আমরা লাশ চেয়েছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা হচ্ছে দেখি তারা কি করেন। তবে অফিসের ভিতরে আরও দুইজন ছিলেন এ ব্যাপারে তাদের কোন অভিযোগ আছে কি না জানতে চাইলে এর কোন জবাব দেননি তিনি।
ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মশিউর রহমান জানায়, সকাল ৮/৯ টার দিকে আমি আমার স্টাফ তুহিনকে ফুল বাবু উঠেছেন কি না দেখতে পাঠাই। তিনি ফুল বাবুর নিকট গিয়ে দেখেন তখনও ফুল বাবু ঘুম থেকে উঠেন নাই।
তুহিন এসে আমাকে জানান ফুল বাবু এখনো ঘুমোচ্ছেন। পরে দুজনেই তাকে ডাকার জন্য সেখানে গিয়ে তাকে ডাকতে থাকি। পরে তার গায়ে হাত দিয়ে ডাকতে গেলে তার শরীর ঠান্ডা অনুভব করি।
তাই তার সন্দেহ হলে তিনি স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে অবগত করেন। সোহরাব হোসেন ঘটনা স্থলে আসলে ফুল বাবুর মৃত্যু নিশ্চিত হন এবং থানায় খবর দেন।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানায়, ঘটনার জানার পর পরই ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। সেখানে তদন্ত চলছে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত মৃত ব্যাক্তির কেউ অভিযোগ করেননি।